প্লাস্টিকের সূর্য ও অন্যান্য লেখা : নিশীথ দাস



বাস্তুবেড়ালের লাফ ছিঁচকে

বুকফালি লাঙলে ইচ্ছে হচ্ছে,  বিঘে হাজার হাজার;
ছেড়ে দিই ঝরনায় বাল্ব, দুটি চোখের, যা, আরো যা,
আছড়ে পড়, কোলে ও বুকে যা থাকে, বিল্ডিংবাড়ি
চিরুনিহ, টেক্সটবুকে অথবা আপিলবিভাগের জজ
বেঁধেছি সুতোর লাল ডগায়, বলক ওঠা আপত্তি
সূর্যের ঘোমটা, আষ্টেপৃষ্টে রাখে ধরে শুক্র, বৃহস্পতি...
দলা পাকাও যদি,  ছেঁড়ে না একাদশীর উপবাসেও
জ্বালিয়ে এক হাত, মাপি আরেক হাতের শর্টসার্কিট
ছাপি বিজ্ঞপ্তি, হারানোর, -বর্গীয় আলফারশ্মির;
ভেঙে টক করি ডিম, পৃথিবীর, অলিখিত লাথিতে-
বাস্তুবেড়ালের লাফ ছিঁচকে, ওড়ায় টিনের চালা যেমন


কাতানের ঝড়

উল্টে দেখি, দেখে ওল্টাই, জলে ছাওয়ানো ছবিগুলো
ঝকঝকে ঝাঁকুনি স্পষ্ট এতে, মোটা দাগে;
জীবন ছড়িয়ে দিচ্ছে আমাকে, এমন ভীষণ উদ্বিগ্ন হাহাকারে
ঘুড়ি উড়িয়ে কাশি দিতে দিতে একটা লোক যাচ্ছে, গায়ের লোম খাড়া
সম্ভবত চিনি, অন্য হাতে যার লেগে আছে ঘোড়া
মেঘখেলানো ছেলে ভয় কি আর পায় অত সহজে?
খুলতেও পারি জহরতের জট-
ব্র্যাকেটে ফলের বুদবুদ, একগ্রামের উস্কানি নিয়ে এলে
সংযম পাঠ করি তাতানো উঠোনে- একটা নদীতে দাঁড়ি বসিয়ে,
এশার নামাজের সময় হলো- যেতেহবে
থিকথিকে কাদা থেমে আছে আমগাছের তলে, কালি লাগিয়ে

ধেইধেই আসছে কাতানের ঝড়, এই দিকে



প্লাস্টিকের সূর্য

কোন পাড়ে তাঁবু গেড়েছ?
এই তো সেদিন নদীর তীর থেকে ফিরলাম, কই দেখলাম না তো?
স্নান হচ্ছে, মাথা কামানো হচ্ছে, ডুব হচ্ছে
আশীর্বাদের জলে এসে কেউ জল,
প্লাস্টিকের সূর্য আমাদের দেশে কচুশাকের জানালায় ওঠে
ওতে গা ভরেনা-  শুকনোই থাকে
পৃথিবীতে কতো ঘরই তো আছে-  উঁচু-নিচু, খড়ে ছাওয়া, ঢালাই ইটের
তাই বলে সব কি তোমার মতো বিশ্বস্ত!
ঝাঁকালেই তাকাবে ছয় ভাইবোনের ঢেউয়ে

কষ্টগুলো এখন আমাদের বাড়ির গাছের মতো উঁচু দেয়াল
বিকিয়ে দেব, লোক লাগিয়েছি
 


আঠা টিউবওয়েলমাড়ানো পথ

দাগ ফিনফিনে গায়ে, বেরিবেরি রোগ তামাকপাতার সার্কাস
জলে ভিজে, ওঠে ভেসে- একাকার;
বণিকের হাবুডুবু চর, যে খেয়েছিলো
বাকিটা পথ, তুঁতপোকার আঠা টিউবওয়েলমাড়ানো,
ধার, তাওদা-এর উস্কানিজীবন, কেটেছে বাঁশের গোড়ালি
শব্দ তাতিয়েছে আশেপাশে, নন-মিনিকেট ডেসিবেলে;
বাদামের ঘর পাঁচটাকার, বানাও ঠোঙায়,
থাকুক যতো ফাঁকফোঁকর, ইকড়িমিকড়ি-চামচিকরড়ি, টুলস ইলাস্ট্রেটরের;
প্রিয় আমার ঘ্রাণ, জুঁইফুলের, যাকে ডাকি কয়েক খামচি পাপ, টেক্কার ট্রে হঠাৎ

6 comments:

  1. Replies
    1. আপনার মন্তব্য আনন্দ বাড়িয়ে দিল।

      Delete
  2. সত্যি আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম।
    আরও নতুন কিছুর পথ চেয়ে রইলাম@ ণিশিথ দাশ দাদা

    ReplyDelete
  3. প্রচুর কমার ব্যবহার... কেমন এক অন্য রকম বলা... নিশীথ যেন ওঁর কবিতা পাঠককে শোনাতে নয় নিজের মনে নিজেই বিড়বিড়িয়ে বলে যাওয়া জন্য, এমন একটি ঢঙ ওঁর কবিতা জুড়ে। ভালো লাগে !

    ReplyDelete