মোকসেদুল ইসলামের দুটি কবিতা



পুলসিরাত

বেহায়া কিংবা গোঁয়ার আমরা যাই বলো না কেন
অন্ধকার নেমে এলে কালো ভ্রমর উল্লাসে ফেটে পড়ে
যদি টান পড়ে দ্রাঘিমারেখায় তবে জেনে রেখো
বঁড়শির আগা থেকে ছুটে পালায় মাছ
বীজমন্ত্র জানে যে কৃষক জমিন তারই হওয়া উচিৎ
তবু বুকের গহীনে লুকিয়ে রাখি কিছু স্বপ্নসুখ
বিলীন হতে হতে আমরা মিশে যাই আদমের আত্মার সাথে।

নিয়মের ফর্দিটা বাড়ছে শুধুই তবু কে কাকে মানে?
আদম সুরত ধরে যে শয়তান কাছে আসে 
আমরা তাকে তাড়াতে কোন বিক্ষোভে নামি নাই
অনশনে যাইনি বরং বুকের ভেতর আগলে রেখেছি
অথচ সুখের শালিক মেরে আগুনের কথা বলি
যে প্রসাদ দিয়েছি প্রভু তুমি তা গ্রহণ করোনি
কেমন করে একা একা পার হবো পুলসিরাত।

 
নিয়মের উপপাদ্য

আহা! পুড়ে যাচ্ছে অসমাপ্ত নিয়মের উপপাদ্যগুলি
দখিনের হাওয়া লেগে গায় আমার যৌবনবেলায়
আবেগের টানে ফিরে ফিরে আসে আদিম কুমারীরা
বাউলা বাতাসে কোজাগরী রাতে লক্ষ্মীর প্রদীপ হাতে
এ ভরা ভাদরে তাদের কেমনে ফিরাই কেমনে ফিরাই
মোহিনী শব্দের ঘোরে নি:শ্বাসের কাছাকাছি এসো
বুকের নরম বালিশ পেতে দেবো স্থিত হও এইখানে
ডালিমে চোখ মেলে দেখো টসটসে সকাল ফুটে আছে।

প্রেমিকের সামনে বসে থেকে চোখ সরিয়ে নিতে নেই
স্পর্শ ও ইশারাসমূহ জানে প্রেম কী সাংঘাতিক দ্রব্য
শুদ্ধ এক সূচিপত্র টাঙিয়ে রেখেছি বুকের ছোট্ট ঘরে
যার প্রচ্ছদে আঁকা আছে সকালের সোনালী সূর্যের মুখ
শুধুমাত্র শূন্যের বিস্তার হলে জৈবিক তাড়না বাড়ে
তুমি তো জানো মদ নয় আমি নারী ভালোবাসি।

2 comments: